সংগঠনটি মূলত সারাদেশে উদোক্তা সৃষ্টি ও উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছে। দেশে তৈরি ক্ষুদ্রশিল্প সামগ্রী প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী, উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। তদনুসারে, অ্যাসোসিয়েশনটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিসিক, যুব উন্নয়নের ধ্যান ধারনায় কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ হস্তশিল্প এ্য্যাসোসিয়েশন  দেশব্যাপী নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের হস্তশিল্প উদ্যোক্তা এবং অনলাইনে ফেসবুক ব্যবসায়ীদের কে ব্যবসাকে ইকমার্স মুখী, ডিজিটাল স্কিল উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক নীতিতে কার্যক্রম করতে উৎসাহিত করতে সারা দেশে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম করে আসছে। প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের হাতে কমলে প্রশিক্ষণ দিয়ে পন্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, মান বৃদ্ধি ও মুল্য নির্ধারনে উন্নত স্কিল তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে।

 

এসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে ৫০জনের উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিদেশে আমাদের স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পণ্যের ব্যবসা করার জন্য “মেডবাংলা” একটি আন্তর্জাতিক মানের ওয়েবসাইট এর কাজ হাতে নিয়েছি। বাংলাদেশ হস্তশিল্প এসোসিয়েশনের কয়েক হাজার সাপোর্টার সারা দেশের ৬৪ জেলার এক্সিকিউটিভ কমিটির যুক্ত হয়ে অনলাইন ট্রেডিং সেবা/পরিষেবা গ্রহন নিজেদের ব্যবসাকে একটি উন্নত অবস্থানে আনতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ হস্তশিল্প এসোসিয়েশন  উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক ধারনা বিকাশ ও সচেতনতা বাড়াতে ৫বছর যাবৎ  নিয়মিত সেমিনার, কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে।

বাংলাদেশ হস্তশিল্প এ্যাসোসিয়েশন সরকারের অন্যতম গুরুত্বপুর্ন সহযোগী  হিসেবে কাজ করে ঘরে ঘরে উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতির চাকা সচল রেখে  “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়তে ও বাস্তবায়ন করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ও যাবে। প্রান্তিক পর্যায়ের বেকার মানুষ গুলোকে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী করা ও ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে ছোট পরিসরে ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলতে আমরা বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে এগিয়ে যাচ্ছি।

গ্রামীণ বাজারকে জাতীয় ও বিশ্ব বাজারের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ৬৪ জেলার হাজার হাজার উদ্যোক্তাদেরকে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের আওতায় এনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্যোগের জন্য, অনেক গ্রামের উদ্যোক্তাদের পণ্য ফেসবুক ও অন্যান্য অনলাইল সেবা ব্যবহার করে সহজে শহরের ভক্তাদের সাথে যোগসুত্র সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। যা গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দিক। শিক্ষার্থী, গৃহিণী, বেকার যুবকরা ঘরে বসেই নিজেদের চাকরির পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়। এ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পরিচালিত ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে প্রায় ২০০০০ মানুষকে দক্ষ এফ কমার্স উদ্যোক্তা এবং অর্থনৈতিক  কর্মী হতে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন উপায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।

 

এছাড়াও প্রতিবছর ঢাকার প্রানকেন্দ্রে উদ্যোক্তা সমাবেসের আয়োজন করে বাংলাদেশ হস্তশিল্প এ্যাসোসিয়েশন ৬৪ জেলার উদ্যোক্তার সাথে সরাকারী বিভিন্ন দপ্তর যেমন বিসিক, যুব উন্নয়ন, মহিলা অধিদপ্তর ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের সাথে যোগসুত্র সৃষ্টি করে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আমাদের সংগঠন কয়েকহাজার উদ্যোক্তাকে যুব উন্নয়ন ও বিসিকের সাথে যুক্ত করেছে এবং ঢাকাতে প্রায় ৫০০ উদ্যোক্তাকে বিসিক নিবন্ধন করতে সহযোগীতা করেছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে এসব কার্যক্রম আগামীতে অব্যহত থাকবে।

 

বাংলাদেশ হস্তশিল্প এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে করোনা কালীন সময় থেকে ফ্রি অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হয় যা এখোনো সাপ্তাহিক ভাবে চালু রয়েছে। এ কার্যক্রমে আমাদের ইউথবিডি অনলাইন ফ্রী প্রশিক্ষনালয়ে নিযুক্ত রয়েছে ২১জন স্বেচ্ছাসেবি প্রশিক্ষক, যারা নিজের বাসা থেকে জুমে অথবা ফেসবুক গ্রুপে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে এই সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।  

 

এছাড়াও সাড়াদেশে বিভিন্ন জেলা/বিভাগীয় শহরে অল্প খরচে প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পন্য বাজার জাত ও বিক্রয়ের জন্য ব্যবস্থা করে আসছে। মেলায় উপস্থিত উদ্যোক্তাদের উতসাহ প্রদানের জন্য উন্নত পন্য উৎপাদনকারী দের সনদ ও সম্মাননা পদকের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। আগামীতে উদ্যোক্তাদের সহযোগীতায় এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলায় প্যাভিলোন ভাড়া নিয়ে সবাইকে সুযোগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।

 

সরকারী সহযোগীতা পেলে আমরা উদ্যোক্তাদের আরো অনেকদুর এগিয়ে নিতে পারবো।এসব কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশ হস্তশিল্প এ্যাসোসিয়েশন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, ছাড়াও অন্যান্য বিদেশী সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক্য সৃষ্টির কাজ করে যাচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য ব্লক, বাটিক, ডাইং, পেইন্টিং, নকশিকাঁথা সহ  বিভিন্ন বিষয়ে হাতে কলমে সেব/পরিসেব মূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি। আগামিতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নারী ফোরাম ও পাশাপাশি আমরা তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি যুব ফোরাম প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।